জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের নবনীকাব্য মাখনের মতো নরম প্রেমপঙক্তির এক রংঝলমলে মালা, যেটি গাঁথা হয়েছে উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার চিকন সুতোয়, তিনফোঁড়ে। ছয়, পাঁচ ও দুই মাত্রার মাত্রাবৃত্তীয় চালে চার লাইনে দুই পঙক্তির অন্ত্যঃমিলযুক্ত লেখাগুলোর শরীরে যে নাচ কব্জা করা হয়েছে, তা বিশেষভাবে পাঠস্বচ্ছন্দ। বাচিক অভিনয়ের সুদীর্ঘ সংস্রবের মাধ্যমে রপ্ত করে ওঠা তাঁর ধ্বনি ও স্বরজ্ঞানই তাঁকে সেই আনুকূল্য দিয়ে থাকবে। যে কারণে ছন্দে তিনি কোথাও কোথাও স্বাধীনতা নিলেও লেখাগুলোর পাঠস্বাচ্ছন্দ্য মোটেই বিঘ্নিত হয়নি। লেখাগুলো কথোপকথনের ঢঙে রচিত। মনে হয় যেন মুখোমুখি বসে দ্বিপাক্ষিক বাগবনিময় চলছে।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের নবনীকাব্য মাখনের মতো নরম প্রেমপঙক্তির এক রংঝলমলে মালা, যেটি গাঁথা হয়েছে উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার চিকন সুতোয়, তিনফোঁড়ে। ছয়, পাঁচ ও দুই মাত্রার মাত্রাবৃত্তীয় চালে চার লাইনে দুই পঙক্তির অন্ত্যঃমিলযুক্ত লেখাগুলোর শরীরে যে নাচ কব্জা করা হয়েছে, তা বিশেষভাবে পাঠস্বচ্ছন্দ। বাচিক অভিনয়ের সুদীর্ঘ সংস্রবের মাধ্যমে রপ্ত করে ওঠা তাঁর ধ্বনি ও স্বরজ্ঞানই তাঁকে সেই আনুকূল্য দিয়ে থাকবে। যে কারণে ছন্দে তিনি কোথাও কোথাও স্বাধীনতা নিলেও লেখাগুলোর পাঠস্বাচ্ছন্দ্য মোটেই বিঘ্নিত হয়নি। লেখাগুলো কথোপকথনের ঢঙে রচিত। মনে হয় যেন মুখোমুখি বসে দ্বিপাক্ষিক বাগবনিময় চলছে। যদিও পাণ্ডুলিপি-বিন্যাস সে ভাবনাকে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেয় না। কবি লেখাগুলোকে সেনরু তথা হিউম্যান হাইকু অভিধা দিতে চান বলে শুনেছি, যদিও হাইকু-সেনরুর ৫-৭-৫ কাঠামোর সাথে এগুলোর আত্মীয়তা অনস্বীকার্য নয়। লেখাগুলোর আত্মীয়তা আমার কাছে মনে হয়, বয়েতের সাথেই বেশি। তো, সেনরু-বয়েত যাই হোক, এগুলোর শ্লোক হয়ে ওঠা কোথাও কোনোভাবে আটকায়নি। এটাই এইখানে সবচেয়ে বড়ো কথা। শিল্প-সাহিত্য যে কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে স্বাগত জানায় বলে পাঠক হিসেবে কোনো লেখার জাত-পাত নিয়ে আপত্তি তোলা প্রয়োজনীয় মনে হয় না। নবনীকাব্য পাঠে মুফতে আমরা যে আনন্দটুকু পাব, পাঠক হিসেবে আমাদের সেটুকুই লাভ। কবি ও পাঠকের জয় হোক।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের নবনীকাব্য মাখনের মতো নরম প্রেমপঙক্তির এক রংঝলমলে মালা, যেটি গাঁথা হয়েছে উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার চিকন সুতোয়, তিনফোঁড়ে। ছয়, পাঁচ ও দুই মাত্রার মাত্রাবৃত্তীয় চালে চার লাইনে দুই পঙক্তির অন্ত্যঃমিলযুক্ত লেখাগুলোর শরীরে যে নাচ কব্জা করা হয়েছে, তা বিশেষভাবে পাঠস্বচ্ছন্দ। বাচিক অভিনয়ের সুদীর্ঘ সংস্রবের মাধ্যমে রপ্ত করে ওঠা তাঁর ধ্বনি ও স্বরজ্ঞানই তাঁকে সেই আনুকূল্য দিয়ে থাকবে। যে কারণে ছন্দে তিনি কোথাও কোথাও স্বাধীনতা নিলেও লেখাগুলোর পাঠস্বাচ্ছন্দ্য মোটেই বিঘ্নিত হয়নি। লেখাগুলো কথোপকথনের ঢঙে রচিত। মনে হয় যেন মুখোমুখি বসে দ্বিপাক্ষিক বাগবনিময় চলছে।
By জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
Category: নবনীকাব্য
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের নবনীকাব্য মাখনের মতো নরম প্রেমপঙক্তির এক রংঝলমলে মালা, যেটি গাঁথা হয়েছে উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার চিকন সুতোয়, তিনফোঁড়ে। ছয়, পাঁচ ও দুই মাত্রার মাত্রাবৃত্তীয় চালে চার লাইনে দুই পঙক্তির অন্ত্যঃমিলযুক্ত লেখাগুলোর শরীরে যে নাচ কব্জা করা হয়েছে, তা বিশেষভাবে পাঠস্বচ্ছন্দ। বাচিক অভিনয়ের সুদীর্ঘ সংস্রবের মাধ্যমে রপ্ত করে ওঠা তাঁর ধ্বনি ও স্বরজ্ঞানই তাঁকে সেই আনুকূল্য দিয়ে থাকবে। যে কারণে ছন্দে তিনি কোথাও কোথাও স্বাধীনতা নিলেও লেখাগুলোর পাঠস্বাচ্ছন্দ্য মোটেই বিঘ্নিত হয়নি। লেখাগুলো কথোপকথনের ঢঙে রচিত। মনে হয় যেন মুখোমুখি বসে দ্বিপাক্ষিক বাগবনিময় চলছে। যদিও পাণ্ডুলিপি-বিন্যাস সে ভাবনাকে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেয় না। কবি লেখাগুলোকে সেনরু তথা হিউম্যান হাইকু অভিধা দিতে চান বলে শুনেছি, যদিও হাইকু-সেনরুর ৫-৭-৫ কাঠামোর সাথে এগুলোর আত্মীয়তা অনস্বীকার্য নয়। লেখাগুলোর আত্মীয়তা আমার কাছে মনে হয়, বয়েতের সাথেই বেশি। তো, সেনরু-বয়েত যাই হোক, এগুলোর শ্লোক হয়ে ওঠা কোথাও কোনোভাবে আটকায়নি। এটাই এইখানে সবচেয়ে বড়ো কথা। শিল্প-সাহিত্য যে কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে স্বাগত জানায় বলে পাঠক হিসেবে কোনো লেখার জাত-পাত নিয়ে আপত্তি তোলা প্রয়োজনীয় মনে হয় না। নবনীকাব্য পাঠে মুফতে আমরা যে আনন্দটুকু পাব, পাঠক হিসেবে আমাদের সেটুকুই লাভ। কবি ও পাঠকের জয় হোক।